Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

মাননীয় প্রতিমন্ত্রী

 

জনাব স্বপন ভট্টাচার্য

মাননীয় প্রতিমন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়

জনাব স্বপন ভট্টাচার্য্য ১৯৫২ সালের ০২ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার পাড়ালা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৃত সুধীর ভট্টাচার্য্য, মাতার নাম- মৃত ঊষা রানী ভট্টাচার্য্য। তাঁর সহধর্মিনী তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য যশোর জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকা। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে বড় ভাই সাবেক এম.পি বীর মুক্তিযোদ্ধা পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য। মেজ ভাই প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট অরণ ভট্টাচার্য্য ছিলেন বিজ্ঞ সিনিয়র আইনজীবি এবং নৌ-কমান্ডো হিসেবে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বপন ভট্টাচার্য্য ১৯৬৮ সালে মশিয়াহাটী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ১৯৭০ সালে নওয়াপাড়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। বিবাহিত জীবনে এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক তিনি।             

ছাত্রজীবন থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সমৃক্ত। মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপরিবারে নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করায় ১৯৭৫ সালের ২৭শে অক্টোবর গ্রেফতার হয়ে মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান এবং সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী মরহুম আব্দুর রাজ্জাকসহ অনেকের সাথে দীর্ঘ ১৯ মাস কারাবরণ করেন। পরবর্তীতে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। সমাজ সচেতন ব্যক্তি হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁর রয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ অংশগ্রহণ। একাধারে কপোতাক্ষ লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ক্লাবের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, কপোতাক্ষ চক্ষু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও  যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যশোর জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জেলা আহবায়ক এবং যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ। এছাড়াও মনিরামপুরের শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি একাধারে মনিরামপুর মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং গোপালপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা।

তাঁর অর্জনের মধ্যে অনন্য হয়ে আছে ২০০৯ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান পদক লাভ। তিনি ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। উল্লেখযোগ্য হলো- ভারত, নেপাল, চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, দুবাই, আরব আমিরাত, রাশিয়া, ওমান, জার্মান, অষ্ট্রিয়া, ইতালী, পোলান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, স্পেন, ফিনল্যান্ড, মিশর, অষ্ট্রেলিয়া এবং ভ্যাটিকান সিটি।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে তিনি ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।